সেই আলেপকে নিয়ে যে নির্দেশনা দিলেন ট্রাইব্যুনাল

 


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমনে জুলাই আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান এবং এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ১০ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) তাদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ও কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আসা দুটি পৃথক প্রিজন ভ্যানযোগে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সেই ১০ কর্মকর্তার মধ্যে ছিলেন বর্তমান সময়ে তুমুল সমালোচিত বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনও।

সম্প্রতি, স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে স্ত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে সাবেক র‍্যাব কর্মকর্তা আলেপের বিরুদ্ধে। এমনকি রোজা ভাঙিয়েও ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগী পরিবারের।

গত সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সম্পর্কিত আল জাজিরার সাংবাদিক মউদুদ সুজনের একটি ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেছেন। পোস্টে মউদুদ সুজন লিখেছেন, ‘গুম হওয়া স্বামী বলছেন পবিত্র শবে কদরের দিন রোজা ভাঙিয়ে ধর্ষণ করা হয় তার স্ত্রীকে। এর আগেও প্রায় তিনবার ধর্ষণ করা হয়েছে স্বামীকে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে। শেষবার ধর্ষণের পর স্ত্রীর মানসিক অবস্থার অবনতি হয় এবং কিছুদিন পরে মৃত্যুবরণ করেন।’

সেই পোস্টে ধর্ষকের নাম জানিয়ে লেখা হয়, ‘ধর্ষক র‍্যাবের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নাম আলেপ। স্বামী সবকিছু হারিয়ে যখন আলেপকে (আলেপ উদ্দিন) বারবার ফোন দিতে থাকে আলেপ রিপ্লাইয়ে জানান, ‘‘বন্দি মেয়ে বা বন্দি পুরুষদের স্ত্রীদের সাথে এমন আচরণ এখানে অলিখিতভাবে স্বীকৃত ’’……..।’

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল সমালোচনা হচ্ছে। এবার আদালত সূত্রে জানা গেল, সেই আলেপকে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া আগামী ২৮ মে’র মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

Previous Post Next Post