সেপ্টেম্বর মাসে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান জানান, আগামী ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচন নিশ্চিত করতে সরকারকে তিনি সমর্থন দেবেন। তাঁর এই বক্তব্যের পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন ওঠে-তাহলে কি ১৮ মাসের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে?
সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ সেই সম্ভাবনাকে আরও জোরালো করছে। সরকার সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে!
সোমবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরসহ অন্যান্য সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।আলোচনার পর মির্জা ফখরুল জানান, প্রধান উপদেষ্টা তাদের ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন।
মির্জা ফখরুল আলমগীর বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা এবং তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যক্তিরা ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য কাজ করছেন।”
যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয়, তাহলে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ মাসের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে-যা অনেক আগেই বলেছিলেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
গত ৫ই আগস্ট, ছাত্রজনতার অভ্যুত্থানের মুখে পদত্যাগ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যিনি পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে যান। এরপর নোবেলজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়।
সরকার মহলে বলা হচ্ছে, আগামী ১৫ই ফেব্রুয়ারির মধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হতে পারে। প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ডক্টর ইউনুস আশ্বাস দিয়েছেন, সংস্কার ও নির্বাচনী প্রস্তুতি দ্রুত শেষ করা হবে।বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ডিসেম্বরে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে।