অবশেষে ‘সাকিব হাসান’কে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ

 


লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা সাকিব হোসেনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ছাত্র-জনতা। তিনি শিক্ষার্থী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

শুক্রবার সন্ধ্যায় তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত।

কে এই সাকিব?স্থানীয়রা জানান, সাকিব ছিলেন একটি কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান। ছোট-বড় সবাই তাকে ‘সাকিব ভাই’ বলে সম্বোধন করতে বাধ্য হতো। অনেকেই তাকে ‘রেন্ডম সাকিব’ নামেও ডাকতো। তার বিরুদ্ধে মারধর, চাঁদাবাজি এবং শিক্ষার্থী নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে।

শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনায় জড়িতপুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট লক্ষ্মীপুর শহরের মাদাম ব্রিজ ও তমিজ মার্কেট এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। এতে চার শিক্ষার্থী নিহত ও অনেকে আহত হন। এই হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক দুটি মামলায় সাকিব এজাহারভুক্ত আসামি।

গ্রেপ্তার ও পুলিশের বক্তব্যরামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার বলেন,‘সাকিব নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা ও হত্যা মামলার আসামি। রামগঞ্জ বাসটার্মিনাল এলাকা থেকে দুপুরে ছাত্র-জনতা তাকে ধরে গণপিটুনি দেয় এবং পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাকে সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

সাকিবের গ্যাং ও অতীত অপকর্মশহরের আটিয়াতলি এলাকার বাসিন্দারা জানান, সাকিবের নেতৃত্বে একটি কিশোর গ্যাং দীর্ঘদিন ধরে শহরের ঝুমুর, জকসিন ও জুগিরহাট এলাকায় তাণ্ডব চালিয়ে আসছিল। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানা গেছে।

বিস্তারিত আসছে…

Previous Post Next Post