বড় পতনের পর স্বর্ণের দামে বড় লাফ

 


বিশ্ববাজারে স্বর্ণের বড় দরপতনের পর বড় উত্থানের ঘটনা ঘটেছে। দুই সপ্তাহ আগে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দাম প্রতি আউন্সে প্রায় ১২২ ডলার কমে। এরপর গত সপ্তাহে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৫৩ ডলারের বেশি। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সঙ্গে দেশের বাজারেও মূল্যবান ধাতুটির দামে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। চলতি নভেম্বরের ২৩ দিনে দেশের বাজারে ৬ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে।

গত সপ্তাহে দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও তা বিশ্ববাজারের তুলনায় কম। এক সপ্তাহের মধ্যে টানা দুই দফায় ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম বেড়েছে ৪ হাজার ৯৩৪ টাকা। আগের সপ্তাহে ভরিতে ৪ হাজার ১৯৯ টাকা দাম কমানো হয়েছিল।

গত ৩০ অক্টোবর প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম রেকর্ড ২ হাজার ৭৮৯ ডলার হয়। এরপর বাংলাদেশে ২০, ২৩ ও ৩১ অক্টোবর টানা তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়, যা দেশের বাজারে ইতিহাস হয়। ভালো মানের প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৫২৬ টাকা হয়। এরপর গত ৩১ অক্টোবর থেকে স্বর্ণের দামে পতন হওয়া শুরু হয়। কয়েক দফা কমে গত ১৪ নভেম্বর মূল্যবান ধাতুটির প্রতি আউন্সের দাম ২ হাজার ৫৪৭ দশমিক ১০ ডলারে নামে। দেশের বাজারেও গত ৫ থেকে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে চার দফায় স্বর্ণের দাম ৯ হাজার ১৭ টাকা কমানো হয়।

বিশ্ববাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। গত সপ্তাহ শেষে প্রতি আউন্স স্বর্ণের দাম বেড়ে ২ হাজার ৭১৫ দশমিক ৮৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে। সপ্তাহের শুরুতে তা ছিল ২ হাজার ৫৬২ দশমিক ৫৪ ডলার। সপ্তাহের ব্যবধানে স্বর্ণের দাম বেড়েছে ১৫৩ দশমিক ৩১ ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় তা ১৮ হাজার ৩৯৭ টাকা বেড়েছে। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গত ২০ ও ২২ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ৪ হাজার ৯৩৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

Previous Post Next Post