সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তের আদেশ বাতিল গোলাম আজমপুত্র আজমীরের



ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানে জড়িত থাকার অভিযোগে ২০০৯ সালের ২৩ জুন সরকারি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ ছাড়াই তাঁকে এ আদেশের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াই শেষে তাঁর বরখাস্তের আদেশ অবশেষে বাতিল হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় আবদুল্লাহিল আমান আযমীর ভাই সালমান আল আজমী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, তার ভাইয়ের সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করা হয়েছে।  

সালমান আল আজমী তার পোস্টে বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, আমার ভাইয়ের সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্তের আদেশ বাতিল করা হয়েছে। এখন তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে 'ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী'। দীর্ঘ সময় ধরে সবাই যেসব দোয়া করেছেন, তার জন্য কৃতজ্ঞ। 

তবে এ ঘটনায় আবদুল্লাহিল আমান আযমীর পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি এখনো সেনাবাহিনী বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রকাশিত হয়নি।

আব্দুল্লাহিল আমান আযমী প্রয়াত জামায়াত নেতা অধ্যাপক গোলাম আযমেরই বড় ছেলে। তিনি সেনাবাহিনীর একজন মেধাবী ও চৌকস সেনা কর্মকর্তা ছিলেন। সেনাবাহিনী জীবনে তিনি অনেক পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। 

চলতি বছরের গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে একের পর এক ফিরে আসতে থাকেন দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ ব্যক্তিরা। তখন তিনি নিজ বাসায় ফেরেন ৬ আগস্ট ভোরে। তারপর এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানান বরখাস্তের আদেশ বাতিলে আইনি লড়াই করবেন তিনি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর তার বরখাস্তের আদেশ বাতিল করা হয়েছে বলে জানান তার ভাই সালমান আল আজমী।
 
উল্লেখ্য, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আবদুল্লাহিল আমান আযমী সালের ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট নিখোঁজ হন তিনি।

Previous Post Next Post