কেন বঙ্গবন্ধু পরিবারের নিরাপত্তা রহিত, জানালেন রিজওয়ানা



বিশেষ কোনো পরিবারকে বাড়তি নিরাপত্তা প্রদানকে বৈষম্য হিসেবে মন্তব্য করেছেন বন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেছেন, এই সরকারের মূল চেতনা হলো বৈষম্যবিরোধী, তাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার জন্য প্রণীত বিশেষ বিধান রহিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৯ আগস্ট) যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের চতুর্থ বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের প্রস্তাবে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠক শেষে রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিরাপত্তা সংস্থা বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। এটিকে বৈষম্যমূলক মনে করা হয়েছে, সেটির ভিত্তিতে এটি রহিত করা হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে ২০০৯ সালে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন’ (২০০৯ সালের ৬৩ নম্বর আইন) প্রণীত হয়েছিল। ২০১৫ সালের মে মাসে ওই আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা ও সুবিধা প্রদানের গেজেট জারি করা হয়।

বৈঠকে জানানো হয়, কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল, যা সুস্পষ্টভাবে বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সংসদ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে। তাই এই আইনটি রহিত করতে অধ্যাদেশ জারি করার প্রয়োজন রয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’-এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভোটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন করে।

Previous Post Next Post